নির্দিষ্ট পণ্যের আমদানি মূল্য দেরিতে পরিশোধের সুবিধা ফের বাড়ল
Post Details
0
0
Sumit Awal
2023-07-19 10:32:31
151 times
Post Contents
রিজার্ভ সামাল দিতে আমদানি মূল্য পরিশোধে যে বাড়তি সময় বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছিল, তার মেয়াদ আরও ৬ মাস বেড়েছে।
চলতি জুন মাসে এই সুবিধার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বলেছে, শিল্পের কাঁচামাল, ব্যাক- টু-ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) দায় পরিশোধ এবং কৃষি উপকরণ পণ্যের আমদানি মূল্য পরিশোধ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত করা যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ নীতি অনুযায়ী, পণ্য আমদানি হওয়ার পর তার মূল্য পরিশোধ করতে সর্বোচ্চ ৬ মাস বা ১৮০ দিন সময় পান উদ্যোক্তারা।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে পণ্য মূল্য পরিশোধে নির্ধারিত সময় ৬ মাস বা ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ২৭০ দিন করা হয়েছিল। আর গত বছরের জুলাইয়ে তা ৩৬০ দিনে উন্নীত করা হয়েছিল।
এই সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়েছিল গত ডিসেম্বরে। পরবর্তীতে পুনরায় সুবিধাটির মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি জুন মাস পর্যন্ত করা হয়।
গত বছর ডলার সাশ্রয় ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে আমদানি মূল্য পরিশোধে সময় বাড়িয়ে দেওয়ার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণে এই সুবিধা থাকবে না।
পণ্য আনার পরে অর্থ পরিশোধ পিছিয়ে দেওয়াকে ব্যাংকিং ভাষায় ‘ডেফার্ড পেমেন্ট’ বলা হয়। এতে সাময়িক সুবিধা এনে দিলেও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এ ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়ে গেলে উদ্যোক্তার খরচ বেড়ে যায়। এরসঙ্গে যুক্ত হয় বিদেশি এ বকেয়ার উপর সুদ। সব মিলিয়ে পণ্য আমদানি খরচ বেড়ে যায় উদ্যোক্তাদের।
দৃশ্যত বৈদেশিক মুদ্রার চলমান সংকট সামাল দিয়ে জুন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী নিট ২৪ বিলিয়ন ডলারে রাখতে বাকিতে পণ্য আনার সুবিধাটি আরও উন্মুক্ত হল।
সোমবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৫ জুন শেষে রিজার্ভের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। সোমবার দিন শেষে তা ৩১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
Sidebar Section
Recent Post