
অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের হেফাজতে পেয়েছে সিআইডি।
সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আরাফাতুল রাকিব রিমান্ডের এই আদেশ দেন বলে আদালত পুলিশের কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম সহ-সভাপতি কাশেমকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
ই কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে যে মামলা চলছে, তাতে কাশেমও আসামি।
তাদের দেশ ছাড়ার উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা ছিল। তার মধ্যেই গত বুধবার রাতে বিদেশ যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দরে আটকা পড়েন কাশেম। পরে তাকে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তাকে সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদনসহ সে দিনই আদালতে পাঠান হয়েছিল। সোমবার সেই আবেদনের শুনানি শেষে দুদিনের রিমান্ডের আদেশ হয়।
আদালত পুলিশের কর্মকর্তা জালাল জানান, রিমান্ড অনুমোদন হওয়ার পরও এদিন সিআইডি আবুল কাশেমকে বুঝে না নেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সিআইডি পরে কারাগার থেকে কাশেমকে তাদের হেফাজতে নেবে।
গত ৩১ মে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার, তার স্ত্রী একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিয়া চৌধুরী, আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী এস কে ট্রেডার্সের মালিক আল মামুন, কাশেমসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০জনের বিরুদ্ধে বনানী থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করে সিআইডি।
মূল আসামি চারজনের মধ্যে সিআইডি কেবল কাশেমকেই গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।